নারায়ণগঞ্জে দুই বছর আগে পুলিশের গুলিতে শাওন আহমেদ নামে এক যুবদলকর্মী নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে নিহতের বড় ভাই মিলন মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় নারায়ণগঞ্জের সদ্য সাবেক পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলো-
১) গোলাম মোস্তফা রাসেল, তৎকালীন পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জ
(২) মঞ্জুরুল হাফিজ, তৎকালীন জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ,
(৩) এ.কে.এম শামীম ওসমান, সাবেক সাংসদ নারায়ণগঞ্জ-৪
(৪) এ.কে.এম সেলিম ওসমান, সাবেক সাংসদ নারায়ণগঞ্জ-৫, উভয় পিতা মৃত- সামসুজ্জোহা, সাং- চাষাড়া
(৫) নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক সাংসদ নারায়ণগঞ্জ-২ থানা-আড়াইহাজার (৬) গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক সাংসদ নারায়ণগঞ্জ-১ থানা- রূপগঞ্জ
(৭) লিয়াকত হোসেন খোকা, সাবেক সাংসদ নারায়ণগঞ্জ-৩ খানা-সোনারগাঁ (৮) আবুল হাসনাত বাদল, সাধারণ সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ (৯) আনোয়ার হোসেন, সভাপতি মহানগর আওয়ামীলীগ নারায়ণগঞ্জ
(১০) শাহজান মিয়া, সাবেক উপদেলা চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক আওয়ামীলীগ, রূপগঞ্জ
(১১) আঃ জলিল, আওয়ামীলীগ (নেতা), পিতা- মৃত আবেদ আলী, সাং-এনায়েতনগর
(১২) মহিউদ্দিন, আওয়ামীলীগ (নেতা), পিতা- আকার নি ভূইয়া, সাং- গোপাল নগর বক্তাবলী
(১৩) জাহাঙ্গীর মাষ্টার, আওয়ামীলীগ (নেতা), গিতা, আফসার উদ্দিন, সাং- পূর্ব গোপালনগর, ফতুল্লা
(১৪) মঈনুদ্দিন, আওয়ামীলীগ (নেতা) পিতা- মোতালিব, সাং- পূর্ব গোপালনগর, ফতুল্লা
(১৫) মোতালিব, আওয়ামীলীগ (নেতা), পিতা- কাসেম, সাং- পূর্ব গোপালনগর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ
(১৬) মাহফুজুর রহমান কনক, তৎকালীন এসআই, ডিবি
(১৭) আনিছুর রহমান, তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সদর থানা
(১৮) কামরুজ্জামান, তৎকালীন এস.আই নারায়ণগঞ্জ সদর থানা
(১৯) মোঃ সোহাগ, কং/৮০৬
(২০) আরিফ দেওয়ান কং/৪২৫
(২১) ফেরদৌস দেওয়ান, এ.এস আই (এবি)/৯২১
(২২) সেলিম, কং/১৭৩০
(২৩) রিপন, কং/২০৫৬
(২৪) যুগল, কং/১০৪০
(২৫) মামুন, কং/১৭৫২
(২৬) রিয়াজ, কং ২০৭০
(২৭) হাফিজ কং/ সর্ব সাং- পুলিশ লাইন নারায়ণগঞ্জ
(২৮) ইকবাল হোসেন এ.এস.আই (এবি)/১২১
(২৯) দেলোয়ার হোসেন, এ.এস.আই (এবি)/১৮২
(৩০) জাকির হোসেন, কং/১৮১০
(৩১) নাঈম, কং/২০১৭
(৩২) রাকিব, কং/২০৭২
(৩৩) আনিছ, কং/১৯৪১
(৩৪) সাইদুল, এসসিসি নং- ৪২৪৭/২২
(৩৫) মোঃ সোহরাব, এ.এস.আই (এবি)/২১৭
(৩৬) ইনজামামুল, কং/২০৪৮
(৩৭) মোঃ রাসেল, কং/১১০৫
(৩৮) খলিলুর রহমান, কং/১২৫৮
(৩৯) মোহসীন মিয়া, কং/৮২৪
(৪০) মোস্তাকিম, কং/৮৭৩
(৪১) সাহাদৎ হোসেন, কং/১৮৮৩
(৪২) ফখরুল ইসলাম, কং/১৭৫০
(৪৩) আরিফ দেওয়ান, কং/৮০৯
(৪৪) দীপক সাহা, কং/৯৫৮
(৪৫) শাহীন, কং/৮০৬
(৪৬) ফরিদ উদ্দিন, কং/৫৩১
(৪৭) মুরাদুজ্জামান, ৩২/১২৮৯
(৪৮) শাহীন, কং/১৬৩৯
(৪৯) কবির হোসেন, কং/৭৪৯
(৫০) মান্নান, কং/৯৫৮
(৫১) রুবেল, কং/১০০৫
(৫২) সোহাগ, কং/১৬৭৩
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালিতে পুলিশের গুলিতে যুবদল কর্মী শাওন আহাম্মদ নিহতের ঘটনায় তার বড় ভাই মিলন মিয়া বাদী হয়ে ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২০০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নগরের আলী আহাম্মদ চুনকা মিলনায়তনের সামনে থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি বিশাল র্যালি বের করে। র্যালিটি নগরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ প্রথমে লাঠি চার্জ এবং পরে গুলি বর্ষণ করে। ঘটনার একপর্যায়ে ডিবি পুলিশের তৎকালীন এসআই মাহফুজুর রহমান কনক চায়নিজ রাইফেল দিয়ে একের পর এক গুলি বর্ষণ করলে যুবদল কর্মী শাওন আহাম্মদ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সেই সঙ্গে পুলিশের গুলিতে আহত হন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের আরও অনেক নেতাকর্মী।
মামলার বাদী মিলন মিয়া বলেন, আমার ভাই শাওন ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট একটি ঘটনা ছিল। কিন্তু পুলিশ ঘটনার পর প্রথমে আমার ভাইকে যুবলীগ কর্মী বানাতে চেয়েছিল। সেটিতে ব্যর্থ হয়ে ভাইয়ের মরদেহ আটকে রেখে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। পরে জানতে পারি আমি নাকি বিএনপির পাঁচ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। পরে আমি আদালতে মামলাটির বিষয়ে নারাজি দিলে পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বাধ্য হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই সময় আমার পরিবারকে পুলিশ জিম্মি করে রেখেছিল। যে কারণে আমি ওই সময় ভাই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারিনি।
নারায়ণগঞ্জে দুই বছর আগে পুলিশের গুলিতে শাওন আহমেদ নামে এক যুবদলকর্মী নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে নিহতের বড় ভাই মিলন মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় নারায়ণগঞ্জের সদ্য সাবেক পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলো-
১) গোলাম মোস্তফা রাসেল, তৎকালীন পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জ
(২) মঞ্জুরুল হাফিজ, তৎকালীন জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ,
(৩) এ.কে.এম শামীম ওসমান, সাবেক সাংসদ নারায়ণগঞ্জ-৪
(৪) এ.কে.এম সেলিম ওসমান, সাবেক সাংসদ নারায়ণগঞ্জ-৫, উভয় পিতা মৃত- সামসুজ্জোহা, সাং- চাষাড়া
(৫) নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক সাংসদ নারায়ণগঞ্জ-২ থানা-আড়াইহাজার (৬) গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক সাংসদ নারায়ণগঞ্জ-১ থানা- রূপগঞ্জ
(৭) লিয়াকত হোসেন খোকা, সাবেক সাংসদ নারায়ণগঞ্জ-৩ খানা-সোনারগাঁ (৮) আবুল হাসনাত বাদল, সাধারণ সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ (৯) আনোয়ার হোসেন, সভাপতি মহানগর আওয়ামীলীগ নারায়ণগঞ্জ
(১০) শাহজান মিয়া, সাবেক উপদেলা চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক আওয়ামীলীগ, রূপগঞ্জ
(১১) আঃ জলিল, আওয়ামীলীগ (নেতা), পিতা- মৃত আবেদ আলী, সাং-এনায়েতনগর
(১২) মহিউদ্দিন, আওয়ামীলীগ (নেতা), পিতা- আকার নি ভূইয়া, সাং- গোপাল নগর বক্তাবলী
(১৩) জাহাঙ্গীর মাষ্টার, আওয়ামীলীগ (নেতা), গিতা, আফসার উদ্দিন, সাং- পূর্ব গোপালনগর, ফতুল্লা
(১৪) মঈনুদ্দিন, আওয়ামীলীগ (নেতা) পিতা- মোতালিব, সাং- পূর্ব গোপালনগর, ফতুল্লা
(১৫) মোতালিব, আওয়ামীলীগ (নেতা), পিতা- কাসেম, সাং- পূর্ব গোপালনগর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ
(১৬) মাহফুজুর রহমান কনক, তৎকালীন এসআই, ডিবি
(১৭) আনিছুর রহমান, তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সদর থানা
(১৮) কামরুজ্জামান, তৎকালীন এস.আই নারায়ণগঞ্জ সদর থানা
(১৯) মোঃ সোহাগ, কং/৮০৬
(২০) আরিফ দেওয়ান কং/৪২৫
(২১) ফেরদৌস দেওয়ান, এ.এস আই (এবি)/৯২১
(২২) সেলিম, কং/১৭৩০
(২৩) রিপন, কং/২০৫৬
(২৪) যুগল, কং/১০৪০
(২৫) মামুন, কং/১৭৫২
(২৬) রিয়াজ, কং ২০৭০
(২৭) হাফিজ কং/ সর্ব সাং- পুলিশ লাইন নারায়ণগঞ্জ
(২৮) ইকবাল হোসেন এ.এস.আই (এবি)/১২১
(২৯) দেলোয়ার হোসেন, এ.এস.আই (এবি)/১৮২
(৩০) জাকির হোসেন, কং/১৮১০
(৩১) নাঈম, কং/২০১৭
(৩২) রাকিব, কং/২০৭২
(৩৩) আনিছ, কং/১৯৪১
(৩৪) সাইদুল, এসসিসি নং- ৪২৪৭/২২
(৩৫) মোঃ সোহরাব, এ.এস.আই (এবি)/২১৭
(৩৬) ইনজামামুল, কং/২০৪৮
(৩৭) মোঃ রাসেল, কং/১১০৫
(৩৮) খলিলুর রহমান, কং/১২৫৮
(৩৯) মোহসীন মিয়া, কং/৮২৪
(৪০) মোস্তাকিম, কং/৮৭৩
(৪১) সাহাদৎ হোসেন, কং/১৮৮৩
(৪২) ফখরুল ইসলাম, কং/১৭৫০
(৪৩) আরিফ দেওয়ান, কং/৮০৯
(৪৪) দীপক সাহা, কং/৯৫৮
(৪৫) শাহীন, কং/৮০৬
(৪৬) ফরিদ উদ্দিন, কং/৫৩১
(৪৭) মুরাদুজ্জামান, ৩২/১২৮৯
(৪৮) শাহীন, কং/১৬৩৯
(৪৯) কবির হোসেন, কং/৭৪৯
(৫০) মান্নান, কং/৯৫৮
(৫১) রুবেল, কং/১০০৫
(৫২) সোহাগ, কং/১৬৭৩
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালিতে পুলিশের গুলিতে যুবদল কর্মী শাওন আহাম্মদ নিহতের ঘটনায় তার বড় ভাই মিলন মিয়া বাদী হয়ে ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২০০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নগরের আলী আহাম্মদ চুনকা মিলনায়তনের সামনে থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি বিশাল র্যালি বের করে। র্যালিটি নগরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ প্রথমে লাঠি চার্জ এবং পরে গুলি বর্ষণ করে। ঘটনার একপর্যায়ে ডিবি পুলিশের তৎকালীন এসআই মাহফুজুর রহমান কনক চায়নিজ রাইফেল দিয়ে একের পর এক গুলি বর্ষণ করলে যুবদল কর্মী শাওন আহাম্মদ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সেই সঙ্গে পুলিশের গুলিতে আহত হন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের আরও অনেক নেতাকর্মী।
মামলার বাদী মিলন মিয়া বলেন, আমার ভাই শাওন ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট একটি ঘটনা ছিল। কিন্তু পুলিশ ঘটনার পর প্রথমে আমার ভাইকে যুবলীগ কর্মী বানাতে চেয়েছিল। সেটিতে ব্যর্থ হয়ে ভাইয়ের মরদেহ আটকে রেখে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। পরে জানতে পারি আমি নাকি বিএনপির পাঁচ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। পরে আমি আদালতে মামলাটির বিষয়ে নারাজি দিলে পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বাধ্য হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই সময় আমার পরিবারকে পুলিশ জিম্মি করে রেখেছিল। যে কারণে আমি ওই সময় ভাই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারিনি। এখন দ