প্রিন্ট নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত পোশাক শ্রমিক শফিক মিয়া হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে তাদেরকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আমিনউদ্দিন ভূঁইয়া, জামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন জালাল, আওয়ামী লীগ কর্মী আনার হোসেন, মৃদুল মিয়া ও শহিদুল্লাহ মিয়া।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পণ্ড করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একজোট হয়ে গত ৪ আগস্ট আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, শর্টগান, ককটেল ও লাঠিসোটা নিয়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর সিনহা গার্মেন্ট এলাকায় ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করে। একপর্যায়ে তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়লে পোশাক শ্রমিক শফিক মিয়া গুলিতে মারা যান। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য শফিকের চাচাতো ভাই আবু হানিফ (৪০) বাদী হয়ে ২৩ অগাস্ট সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩৫ জনকে আসামি করা হয়। শফিক মিয়া (২৮) শেরপুরের নকলা উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের জুলহাস মিয়ার ছেলে এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানা এলাকায় ‘মিনা গার্মেন্টসের’ শ্রমিক ছিলেন। ১১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিকের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তার লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দিলে দুই মাস পর ৩ অক্টোবর গ্রামের বাড়ির কবর থেকে শফিকের মরদেহ তোলা হয়।